প্রিপেইড কার্ড vs ডেবিট কার্ড (২০২৫)
প্রিপেইড কার্ড এবং ডেবিট কার্ড দুইটি দেখতে একইরকম হলেও তাদের ব্যবহার ও সুবিধা ভিন্ন।
প্রিপেইড কার্ড কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে সংযুক্ত থাকে না। আপনাকে প্রথমে কার্ডটিতে টাকা লোড করতে হয়, যা ব্যাংক ট্রান্সফার, ক্যাশ ডিপোজিট বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করা যায়। লোড করা টাকার পরিমাণের মধ্যে আপনি শপিং বা লেনদেন করতে পারবেন। এটি বাজেট কন্ট্রোল, ভ্রমণ, উপহার দেওয়া কিংবা যারা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রাখেন না তাদের জন্য খুবই উপযোগী। অধিকাংশ প্রিপেইড কার্ডে দুইটি মুদ্রায় লেনদেনের সুবিধা থাকে, যা বিদেশি ভ্রমণে বিশেষভাবে কার্যকর। তবে, এই কার্ডে ওভারড্রাফট সুবিধা থাকে না এবং রিফান্ড বা চার্জব্যাক সীমিত হতে পারে।
অন্যদিকে, ডেবিট কার্ড সরাসরি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সাথে যুক্ত থাকে। এটি ব্যবহার করে আপনি আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে সরাসরি টাকা খরচ বা ATM থেকে নগদ তুলতে পারেন। ডেবিট কার্ড দিয়ে দৈনন্দিন কেনাকাটা, বিল পরিশোধ, অনলাইন লেনদেনসহ নানা রকম কাজ করা যায়। কিছু ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট টাইপ অনুযায়ী ওভারড্রাফট সুবিধাও পাওয়া যায়। ডেবিট কার্ডে EMV চিপ, পিন কোড, SMS অ্যালার্ট ও অনলাইনে দুই স্তরের নিরাপত্তা (OTP) থাকে, যা নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এছাড়া, এই কার্ডগুলোর ক্ষেত্রে লেনদেনের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অধিক সুরক্ষা থাকে।
২০২৫ সালে উভয় কার্ডেই আধুনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কনট্যাক্টলেস পেমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। তবে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিন—যদি আপনি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়া অর্থ খরচ করতে চান বা বাজেট নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তবে প্রিপেইড কার্ড বেছে নিন। আর দৈনন্দিন লেনদেন ও ব্যাংক অ্যাক্সেসের জন্য ডেবিট কার্ড সেরা বিকল্প।